বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ৯৮ হাজার। আর আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৬ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৮ জনের। আর এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৯৯ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ২০২ জন। আর এই মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৬ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৪ জনের।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো তৃতীয় স্থানে আছে। আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১৩ নম্বরে। মেক্সিকোতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ১২ হাজার ৮৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯০ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে চতুর্থ স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ ২ হাজার ৫৯১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৩ জনের। মৃত্যুতে পঞ্চম ও আক্রান্ত বিবেচনায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ২২ হাজার ৯১০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৭৭ জনের।
আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম এবং মৃতের সংখ্যায় অষ্টম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ২৭৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২০ জনের। মৃত্যুর দিক দিয়ে ষষ্ঠ এবং আক্রান্তের সংখ্যায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ইতালি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯০ হাজার ৬১৮ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯১টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।